১
“নাদিয়া ভেসপুচি! না-দিয়া ভেস-পুচি‼...”
আহ! কোত্থেকে এত শব্দ আসছে! এইতো সব চুপচাপ ছিল, আমিও
ঘুমাচ্ছিলাম; তাহলে কে ডাকছে এখন আমায়? কে?
“নাদিয়া ভেসপুচি‼...”
আবার, আবার ঐ ডাকটা আসছে। আবার…আচ্ছা, গলাটা কেমন চেনা
চেনা লাগছে না? কোথা থেকে আসছ তুমি? কোথায়?
“..................”
আরে, এই তো আমাদের স্কুল গার্ডেন! এই তো সেই গাছটা, বাহ
এখনও কত সুন্দর লাগছে! ওই তো মিস কেলি, আমাদের ক্লাসটিচার; খুব ভালোবাসতেন আমাকে।
আবার ডাকটা শোনা যাচ্ছে, কোথায় ডাকছে… কোথায়...কোথায়...কোথ...আরে ওই তো মিস্টার হেনরি
ওলশান, আমাদের পি.টি. টিচার। এ বাবা, ক্লাস শুরু হয়ে গেছে, আর আমি আবার লেট। যাই
তাড়াতাড়ি...তাড়া...তাড়ি...তা...
২
আ...আমি কোথায়? আর ঘুমোতে ভাল লাগছে না। বন্ধুরা কতদিন
আসেনি, খেলা হয়নি; আচ্ছা কাঠবেড়ালির বাচ্চাটা এখন ঠিক আছে? ও কি খেলছে এখন? তোমরা
কি কেউ জানো? আর, আর আমার চিঠিগুলো, যেগুলো আমি প্রতি সপ্তাহে বাবাকে দেব বলে
লিখতাম আর তারপর ট্রাঙ্কে গুছিয়ে রেখে দিতাম একবারে সারপ্রাইজ দেব বলে? জানো? জানো
না, না!...আমি কোথায়...
“নাদিয়া, আমার ডার্লিং...”
বাবা! বাবা এসেছে! এটা তো বাবার গলা! এরকম আদুরে গম্ভীরভাবে
একমাত্র বাবাই ডাকতে পারে। বাবা, কোথায় তুমি, কোথায়? আমি তোমার কাছে যাব। আমি...আমি
চলতে পারছি না কেন? বাবা আমি তোমার কাছে যাব। আমি চলতে পারছি না...আমি...তোমার কাছে...
৩
আহ...জানো আজ আমার খুব আনন্দের দিন। আজ আমি ছুটি পাব। আমার
ছুটি হবে। তারপর, চকোলেট কেক খেতে খেতে আমি, বাবার কাছে যাব। জানো, কালকে বাবা
এসেছিল। কতদিন পর বাবাকে দেখলাম! সেই কোন ছোট্টবেলায় বাবা কাজে চলে গেল; আর তো
দেখলামই না। কাল কত গল্প হয়েছে, বাবা বলেছে যে ছুটির পর আমায় বেড়াতে নিয়ে যাবে।
অনেক নতুন নতুন জায়গা দেখাবে, যেখানে কেউ যায়নি আগে; সেখানে শুধু আমি থাকব, আর
বাবা...আমি...আর, বাবা...
ওই যে কারা আসছে। এবার আমার ছুটি হবে। মা, তুমি কাঁদছ কেন?
আরে, আমি তো বাবার কাছেই আছি। তোমাকেও নিয়ে যাব, গল্প করব ঘোরার। ওই তো বাবা এসে
গেছে; বাবা, দাঁড়াও আমি আসছি, একটু ড্রেস করে নিই। তারপর আমরা যাব...আসছি
তাহলে...
No comments:
Post a Comment