ক্লোরোfeel-এর পাতা

Wednesday 1 March 2017

বইমেলার বই — প্রথম পর্ব : শৌভ চট্টোপাধ্যায়

এলভিস ও অমলাসুন্দরী / শমীক ঘোষ

গল্পকার শমীক ঘোষের সঙ্গে, ফেসবুকে, আমার আলাপ অনেকদিনের। এবার বইমেলায় গিয়ে, তার সঙ্গে, মিনিটদশেকের একটি ঝটিকা-সাক্ষাতের সৌভাগ্যও হয়। আমার কেমন যেন ধারণা হয়েছিল, লোকটা রাগী। আর এ-ও মনে হয়েছিল যে, তার গল্পগুলোও বেশ রাগী আর বদমেজাজীই হবে— হয়তো, পাঠকের দিকে, রাগী মাস্টারমশাই সেজে, ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে থাকবে আর গজগজ করবে। ফলে, তার 'এলভিস ও অমলাসুন্দরী' কেনা ইস্তক বেশ ভয়ে-ভয়ে ছিলাম। পড়তে পারব তো?

কিন্তু আজ, অবশেষে, বইটা পড়ে আমি যাকে বলে থ'! কোথায় রাগ? বরং, একটা অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং দরদী মনের ছাপ এ-বইয়ের সর্বত্র, যে একটু দূর থেকে লক্ষ করছে অবস্থাগতিকে ফেঁসে-যাওয়া মানুষের অসহায় ছটফটানি, আর,
ঠোঁটের কোণে একটা ক্লিষ্ট হাসি টাঙিয়ে, আশ্চর্য নির্বেদে, সেসব লিপিবদ্ধ করে রাখছে। কোথাও সে পাঠককে দুধু-ভাতু ভেবে, তাচ্ছিল্যের হাসি ছুঁড়ে দিচ্ছে না, বরং তাকেও ডেকে নিচ্ছে খেলায়। শুধু তাকে একটু মনোযোগী হতে বলছে।

বইটির বিষয়-স্থান-কাল-পাত্রের বৈচিত্র্য বিপুল, এটা, সাম্প্রতিক বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে (যখন কলকাত্তাইয়া শহুরে মধ্যবিত্তের ছুটকো আশা-আকাঙ্ক্ষার গপ্পো অথবা শহুরে লোকের চোখে দেখা আর্কেটাইপাল গ্রামপতনের বিত্তান্তের বাইরে বেরোনোর সদিচ্ছা ক্রমশই ক্ষীয়মাণ), বেশ বড় পাওয়া। আবার অন্যদিকে, বিগত শতকের আঙ্গিকগত পরীক্ষা-নিরীক্ষার চোঁয়াঢেকুর, কোথাও, কাহিনির তথা ন্যারেটিভের স্বাদকে ক্ষুণ্ণ করেনি, এটাও একটা বিরাট স্বস্তির ব্যাপার। অবিশ্যি, এ-সবই, পাঠক-হিসেবে আমার ব্যক্তিগত রুচি ও পক্ষপাতকেই চিহ্নিত করে।

যেমন, আমার মতে, বইটির তুরুপের তাস তার নামগল্পটি। এত সংহত তার নির্মাণ, এত মিতবাক, এত অনুচ্চকিত তার চলন, অথচ এতই ইঙ্গিতময় ও মেদুর, যে চরম ছিদ্রান্বেষীর পক্ষেও এতে একটি বাড়তি শব্দ বা ভাবের অসম্পূর্ণতা আবিষ্কার করা দুষ্কর। হয়তো এর পরেই রাখব 'ভিউফাইন্ডার' গল্পটাকে। 'দূরবিন' গল্পটিতে দুটি আলাদা সময়, দুটি আলাদা চরিত্রের জাক্সটাপজিশন আগ্রহোদ্দীপক হলেও, তাকে একটু বেশিই পরিকল্পিত ও তার ফলে অবভিয়াস বলে মনে হয়েছে। 'লোকটা' গল্পের শেষে মনে হয়েছে, এতটা হয়তো না-বলে দিলেও চলত। অবিশ্যি, আগেই যেটা বলেছি, এটা নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত, এবং, সম্ভবত, ছোটগল্পের ক্ষেত্রে, কার্ভার ও হেমিংওয়ের ঘরানার প্রতি চূড়ান্ত পক্ষপাতের পরিচায়ক। সব গল্পগুলো নিয়ে আলাদা করে বলা সময়াভাবে সম্ভব হল না, যেগুলো বিশেষ করে দাগ কেটেছে, সেগুলোর কথাই বললাম। অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকব শমীকের পরের গল্পগুলির দিকে, হয়তো সেখানে ন্যারেটিভ নিয়ে আরও একটু ভাঙাগড়ার চেষ্টা খুঁজে পাব— এই তো সবে শুরু, আর যেহেতু শুরুতেই এতখানি ভালো-লাগা, ফলে প্রত্যাশা ক্রমবর্ধমান হবে, সেটাই স্বাভাবিক!

সবশেষে একটা টোটকা, যেটা আমি শুভ্রদার (বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে পাই, আর শুভ্রদা পেয়েছিল জমিল সৈয়দের কাছে— লেখায় 'মতো', 'যেন', এইসব শব্দ যত কম ব্যবহার করা যায়, তার সম্ভাবনার ক্ষেত্র তত উন্মুক্ত হয়। এটাকে আনাড়ির ঔদ্ধত্য বলে মনে হলে, বস, ক্ষমা করে দিও! 


****************************************************************************************


পিতার জন্ম হয় / স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্ত



কিছু কবিতা এমন যে, প্রথম পাঠেই, একটা অবশ্যম্ভাবী ভালো-লাগার ঘোর তৈরি হয়। অথচ, সেই ঘোরের পশ্চাতে, কবিতার শরীর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা সূক্ষ্ম কারুকাজ, দক্ষ নির্মাণের কৌশল, চট করে দৃশ্যমান হয় না— এতই সরল তার চলন, আর এতটাই স্বাভাবিক বলে মনে হয়। ফলে, দ্বিতীয় বা তৃতীয় পাঠ অবধি, সেই কবিতার সঙ্গে পাঠকের ওঠা-বসা চলতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না এর একটা বিহিত হচ্ছে। স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্তের ‘পিতার জন্ম হয়’ কাব্যগ্রন্থের ‘এখানেও বিভীষণপুর’ কবিতাটি, আমার কাছে, এইরকম একটি বিপজ্জনক কবিতা হিসেবে প্রতিভাত হয়েছিল—

শ্রাবণ দেখা যায়,
শ্যামলপর্ব পেরিয়ে যাওয়ার পর
শ্রাবণের শ্রাবণতাটুকু দেখা যায় শুধু

বৃষ্টির অভিনয় ধরা পড়ে,
ধরা পড়ে ধারাশ্রাবণের শেষ ছবিগুলি...

এখানেও বিভীষণপুর,
দু-একটি ছোট গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ার মতো ললাট রয়েছে

গয়নাবড়ির গায়ে রোদ এসে লাগে
ছায়া দেয়, ছায়া পড়ে বিভীষণপুরে

কবির কাছে এইটা একটা মারাত্মক চ্যালেঞ্জ— কীভাবে সে তার চোখের সামনে ফুটে ওঠা দৃশ্য ও সেই দৃশ্যসঞ্জাত অনুভূতিগুলিকে ভাষায় ধরবে! যে-দৃশ্য সে দেখেছে, সেটা কেবল তার একার দেখা, তার নিজস্ব ব্যক্তিগত দেখা। আর সেই দৃশ্যও তো স্থির নয়, কেবলই পালটে পালটে যাচ্ছে, যেভাবে আলো-ছায়ার নতুন বিন্যাসে পালটে যায় প্রকৃতির ছবি, এমনকী অনুভূতিগুলোও তখন আর একরকম থাকে না। কবি কি তাহলে, সেই পরিবর্তনশীল সমগ্রকে ধরার নাছোড় তাগিদে, ইম্প্রেশনিস্ট শিল্পীর মতো কোনও এক অভাবিত কৌশলের আশ্রয় নেবে? স্বর্ণেন্দু কতকটা তা-ই করলেন। লক্ষ করলে দেখা যাবে, এই কবিতায় শ্রাবণ, অর্থাৎ বর্ষাকাল, তার সমস্ত শ্রাবণতাটুকু নিয়েই হাজির হয়েছে— রয়েছে বৃষ্টি, আর বৃষ্টির ফলে আরও শ্যামল হয়ে ওঠা প্রকৃতি; রয়েছে মেঘের ফাঁক দিয়ে ফুটে ওঠা রোদ, আর রোদের চিহ্ন মুছে দেওয়া মেঘের ছায়া; অল্প হাওয়াও রয়েছে, ওই ‘ছায়া দেয়’ শব্দবন্ধটির আড়ালে, সুকৌশলী সাঁটে; আবার, “দু-একটি ছোট গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ার মতো ললাট রয়েছে”, এই দৈববাক্যটির আড়ালে, হয়তো, সরু রাস্তায় জল জমে গাড়ির থেমে যাওয়ার আভাষ পাই, এবং ‘ললাট’ শব্দে, কোথাও একটা অনিবার্য নিয়তির ইশারাও চোখে পড়ে।এই কবিতার নির্মাণে কোনও গোটা-গোটা বর্ণনার ভার নেই, শুধু সামান্য কিছু শব্দের ইশারায় একটা ছবির রচনা সম্ভব হল; সম্ভব হল, পাঠকের পক্ষেও, কবিতা-জুড়ে ছড়ানো এইসব উপাদানগুলোকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়ে, ব্যক্তিগত শ্রাবণের নীচে গিয়ে দাঁড়ানো। যেভাবে ব্রাশের বা প্যালেট নাইফের আপাত-অসংলগ্ন টানে, রঙের ভারী পোঁচে, মাঠজুড়ে সাইপ্রেস গাছের সারি হাওয়ায় নড়ে ওঠে, যাকে একটু দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখতে হয়; কেননা, খুব কাছে গেলে, মাঠ-গাছ-আকাশ কিছুই আর নজরে পড়ে না। তবু, এতখানি বলার পরেও ভাবি, ‘বিভীষণপুর’ কেন? ওই নামশব্দের আড়ালে কি, তাহলে, রয়ে গেল শ্রাবণের সম্ভাব্য ভীষণতার ইঙ্গিত? না কি, আলো-ছায়ার ও মেঘ-রোদের এই ক্রমিক রংবদল, কোনও পৌরাণিক শিবিরবদলের কাহিনিকেই, পুনরায়, মনে পড়িয়ে দিল? হতে পারে, কবির চিন্তা সম্পূর্ণ অন্যখাতে বয়েছে, কিন্তু এই যে শব্দের আশ্চর্য চয়নে ও সজ্জায়, এতরকম পাঠের সম্ভাবনাকে উন্মুক্ত করে দেওয়া, এটাই একটা যথার্থ কবিতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

বইটি পড়তে পড়তে অনুভব করি, অস্তিত্ব বলতে, স্বর্ণেন্দু শুধুমাত্র ব্যক্তিমানুষের জীবনকে বা তার দেশ-কালকেই বোঝেননি, বরং, আরও বড় কোনও প্রেক্ষাপটে তাকে স্থাপন করতে চেষ্টা করেছেন। অনেকটা রাস্তায় নেমে মানুষকে দেখার বদলে, বাড়ির ছাদ থেকে দেখা— সে-দেখায় শুধু মানুষ নয়, দিগন্ত-অবধি বিস্তৃত রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ি-মাঠ এবং তার ওপরে ঢালু হয়ে নেমে আসা আকাশ-সমেত, গোটাটাই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। দৃষ্টিভঙ্গীর এই প্রসারতা, অন্যদিকে, মানুষকে খুব দ্রুত এনে দাঁড় করায় অস্তিত্ব-সংক্রান্ত কতকগুলো মৌল প্রশ্নের সামনে, যার মীমাংসা, আমাদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের সাহায্যে, সম্ভব নয় বলেই মনে হয়। এর ফলে দুটো ব্যাপার ঘটতে পারে— এক, কবি একধরনের নেতিবাদে গ্রস্ত হয়ে একে আক্রমণ করে বসতে পারেন; দুই, অস্তিবাদী হয়ে(অস্তিবাদ বলতে কিন্তু ঈশ্বরবিশ্বাসের কথা বলতে চাইছি না), এই মীমাংসাহীনতাকেও একধরনের গন্তব্য বা আশ্রয় বলে ভেবে নিতে পারেন। আমার মনে হয়েছে, স্বর্ণেন্দুর ক্ষেত্রে এই দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে। বইয়ের চারটি অংশের মধ্যে প্রথম অংশে, যার নাম ‘সামান্যকে জানার ইচ্ছা’, এই অমীমাংসিত প্রশ্নগুলির সঙ্গে একধরনের শান্ত বোঝাপড়া করে নিতে চেয়েছেন তিনি। লিখেছেন, “কীভাবে পৃথিবী ঘোরে, রৌদ্রস্নাত সড়কের একপাশে বেড়ে ওঠে গাছের সকাল/ প্রশ্নগুলি মীমাংসার থেকে বেশি আনুগত্য খোঁজে”। সামান্য ঘটনাগুলিকে দেখা, ও বৃহত্তর প্রেক্ষাপটটির সাপেক্ষে তাকে জানার প্রয়াস, প্রথম অংশটির মূল ভাবরূপ বলে আমার মনে হয়েছে। এই অংশের বিভাব কবিতাটিতেও এই ধারণার সাক্ষ্য পাই— “সামান্যকে জানার ইচ্ছে/ অসামান্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়”।

এই অংশের তো বটেই, সামগ্রিকভাবে এই বইটিরও, মূল রঙ হচ্ছে কালো বা ধূসর, আর সময়কাল গোধূলি, সন্ধ্যা বা রাত্রি। এই রঙ ও সময়ের মোটিফগুলি বারবারই ঘুরেফিরে এসেছে এই বইয়ের কবিতাগুলিতে। আর এটাই হয়তো স্বাভাবিক, কেননা পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ছাড়িয়ে আরও ওপরে গেলে যে-মহাকাশ, তার রঙ কালো, সেখানে রাত্রি চিরস্থায়ী। বস্তুত, আলো নিভে গেলে, আমাদের সীমার ধারণাগুলো গুলিয়ে যেতে থাকে, সবকিছুই তখন অসীমের স্পর্শ পেয়েছে বলে মনে হয়। বোধহয়, এই কারণেই, কালো রঙ বা অন্ধকার স্বর্ণেন্দুর কবিতায় কোনও নঞর্থক ব্যঞ্জনায় চিত্রিত হয়নি, বরং সে-ও এক আশ্রয়— সমস্ত ব্যস্ততার শেষে, ঘরে ফেরার ডাকের মতো— “আমি এলে সন্ধে হবে / অপেক্ষার ঘরবাড়ি সন্ধের পথ চেয়ে আছে”। বস্তুত, এই কবিতাযাত্রার পুরোটাই এক নিঃসীম অন্ধকারের অভিমুখে, রাত্রির দিকে, নির্জ্ঞানের দিকে— “এই অন্ধকারকে যাত্রার মতো স্পর্শ করে থাকা যায়”, অথবা “দৃশ্যের শেষে এসে সমাপ্তি নয় / কুয়াশার পথগুলি শেষ হয় রাত্রির মাঝে”।

অমীমাংসাকে শান্তভাবে গ্রহণ করার জন্যেই বোধহয়, একধরনের লৌকিক ও প্রাগাধুনিক চেতনার দিকে যাত্রা অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। এ জিনিশ আমরা, এর আগে, গৌতম বসু-র কবিতায় দেখেছি, এবং, এই বইটি পড়তে পড়তে আমার মাঝেমধ্যেই মনে হয়েছে, স্বর্ণেন্দু নিজেও হয়তো গৌতম বসুর কবিতার দ্বারা প্রভাবিত, তবে আচ্ছন্ন বা অনুকরণপ্রয়াসী কদাপি নন। এই যে তথাকথিত আধুনিক(পড়ুন পাশ্চাত্যের বিচারে আধুনিক) দৃষ্টিভঙ্গীকে সরিয়ে রাখার প্রয়াস, বা সেই চশমাটিকে খুলে রাখার ইচ্ছা, তা গোড়াতেই আভাষিত হয়েছিল— “প্রতিদিন একবার বামপাশে ফিরে যাই তবু, / চশমাটি খুলে রাখি, তিনবার পাখি পাখি বলে—”। আর বইয়ের তৃতীয় অংশের ‘আধুনিকতার ঘরবাড়ি’ কবিতায় তা আরও স্পষ্টভাবে ঘোষিত হল— “বিকেলের শেষে তার আধুনিকতার কথা মনে পড়ে / ঘরে ফিরে যেতে চায়, গোধুলির ঘরগুলি / হাঁসের পাখার মতো স্থির হয়ে আছে / বিকেলবেলার শেষে, আধুনিকতার ঘরবাড়ি শূন্য পড়ে থাকে”।

আঙ্গিকগত নিরীক্ষার চীৎকৃত হাঁকডাক আর কবিতা-জুড়ে সমাজ-রাজনৈতিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের সচেতনপ্রয়াস থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা এই মৃদুভাষী, ব্যতিক্রমী বইটির জন্য আমি ক্রমশ এক অনুপম মমত্ব অনুভব করতে থাকি। স্বর্ণেন্দুর প্রথম বই ‘ধানইন্দিরা’ আমি পড়িনি, কিন্তু এই দ্বিতীয় বইটি, কবি-হিসেবে তার পরিপক্বতার যথোচিত নিদর্শন বলেই মনে হয়। অপেক্ষা নিয়ে তাকিয়ে থাকা যায় স্বর্ণেন্দুর পরবর্তী প্রয়াসের দিকে।

No comments:

Post a Comment