মুখের
মধ্যে যেটুকু যাপন, ক্রমশ মেঘলা হয়ে আসে। প্রহর পেরিয়েই ঘুম, পাতলা ঘুম, তাকে ল্যান্ডমার্ক
ধরি। অন্ধকারে ওর ভেতর থেকে অধাতব ধ্বনিরা উঠে আসে।
দুজনেই
ছিপ ফেলে বসে আছি। দুজনের পা-ই রাখা আছে হাওয়ায়। অথচ কেউ কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। আর তাই রহস্য তুলে আনা প্রয়োজন। কে কবে হাতের আলো
পায়ে ঠেলে ভারী করেছে ফুটফুটে বুক; একটা রাজকীয় ইঁদারার মতও ঘুম, ঢেউ ওঠে। এখানে কপিকল
নেই, অতএব – চারিটি পা ঝুলিয়ে আছি, পা রেখেছি হাওয়ায়।
হুসহাস-গুবগাব
– তলানোর সে কী সমারোহ। তলাতে তলাতে প্রায় যোজন শতাব্দ নিথর। ততখানি অন্ধকারও দেখিনি
দুঠোঁটে – যতখানি গভীরে এ ছিপের আপতন।
অতএব
চুপচাপ বসি। নিজের দিকে পিঠ ফিরিয়ে। কত আলোকবর্ষ ধরেই একটি আলো ফেরার। শত শত নক্ষত্রের
ইতিহাস অন্ধকারকে আরও একটু অন্ধকারে সাজায়...এই যা! যে যায়, সে আলোটুকু নিয়ে যায়। ফেরার
পথটি শুধু বহুদিন অসুখে ভোগে...তারপর ফিকে হয়ে যায়
মুখের
মধ্যে যেটুকু যাপন, তার উতলরেখায় ছাপ খুঁজে পাই। সে রেখা বিস্মৃত সব পথের। যে পথ ভালো
নয় হয়তো বা, ঝুঁকিবহুল পুনর্মৃত্যুকাল – অথচ এরই খানাখন্দে মিতভাষী চাঁদ পড়ে আছে ফাগুন
বৈরী অনুকম্পায়...গোলাকার, গোটা না; ছনছনিয়ে গুঁড়ো হওয়া চাঁদ ঠিকরে পড়ছে ঐশ্বরিক মৌতাতে।
আমাদের চিতল পিঠে পুণ্যের নিপুণ ট্যাটু, ধারালো ধারালো অলসতা। অতএব সামলে হাঁটা যাক
– অধাতব শব্দে ভর...
ঢেউ
ওঠে...রাজকীয় ইঁদারার মতো ঘুম।
প্রতিটা লাইনে রহস্য..প্রতিটা শব্দে বিস্ফোরণ... ভাবনার গতি কে মোচড় দিয়ে চালনা করে এযাবত না যাওয়া পথে..এ কে অসধারণ বল্লেও অনেক কমই বলা হয়
ReplyDelete