ত্বক, স্পর্শ, গতি,
ভেদ্য, বিন্দু, তারল্য, পুচ্ছ, নিষেক, জন্ম, মৃত্যু...
শরীরে শরীর মিশলে
খেচর স্বপ্ন আসে
স্বপ্ন উড়ে কর্কশ হলে
আঁচ জন্মায়
ওম থেকে ভেসে আসে
দুঃসাহসী এক গন্ধ
উদ্দীপক একটা ছুতো,
উদ্দীপনা একটা স্নায়ুনির্ধারিত গল্প, আসলে জন্মকালীন উদ্দেশ্য গঠনে গঠন গঠনকেই চায়। এই যে পৃষ্ঠায় লিখছি, পেনের ঠিক
মুখ পৃষ্ঠা স্পর্শ করছে, মন তৈরি করে নিয়েছে সে কতদূর অবধি যাবে, এবারে গতি, সে গতি
পাতায় পাতায় নির্ধারিত হয়ে এঁকে দিচ্ছে এত এত শুক্রাণু/অক্ষর! এর বেশিরভাগ মরে
যাবে। সমস্ত উপাদান পুষ্ট পুচ্ছ তৈরি হবে কর্মকুশলতার তাগিদে অথচ ব্যর্থ হবে কেন?
কোথায়?
অন্ধকারে এ গোপন মহড়া
চলবে যেমন কবিতার গা বেড়ে ওঠে নিভৃতে, চোখের আড়ালে, ব্যর্থ মুক্তির পর কেউ কেউ জয়
করে নেয়
আহা জীবন
আহা শুক্রাণু
আহা উদ্দীপক
আহা ভ্রম
কবিতা
আহা
জন্ম
আহা
মৃত্যু
আহা
ছক
আহা
খেলা
আহা
জীবন
ডিম্বাণু ও শুক্রাণু – নায়িকা ও নায়িক
কবি ও কবিতা – কর্তা ও
কর্ম
ডিম্বাণুর সমস্ত সিংহাসন
জুড়ে তার চারিদিকে ছড়িয়ে আছে শুক্রাণু রাজ্য, এদের মধ্যে কেউ বিশিষ্ট, ডিম্বাণুর
ত্বক ভেদ করে জন্ম আনতে পারে। কোনও পুচ্ছ, কোনও ক্রিয়াশীলতার বিভাজন জানে না। যেমন
কবির মধ্যস্থ অজস্র ভাবনা, চিত্রকল্প, শব্দরাজি, অনুভূতি এইসব শুক্রাণুরা জানেই না
কীভাবে ডিম্বাণু মাধ্যমে জন্ম/সন্তান/কবিতা হয়। শব্দ, ভাব কীভাবে কোন ক্রিয়াশীলতায়
প্রতিষ্ঠা পাবে? শুক্রাণু রাজ্যে বিচারাধীন প্রাণ হয়ে বলি কবিতা এক জন্ম, যা কোনও
বিশিষ্ট শুক্রাণুর আসলে তা শুধু শক্তি জানে... যেন আলেয়ার সাংকেতিক শক্তি
ছুঁয়ে গেল, ধ্বসে গেল,
কুঁকড়ে কী যেন সব বলে গেল!
মায়ার তরঙ্গ হয়ে ছুঁয়ে চলে গেল
ঘুম নামক পাহাড়ী ছায়ার
পর
কুঠুরিতে শুরু হল এক
গোপন মহড়া
শুক্রাণু জীবনের গ্রহীতা
কাব্যময় তাঁর গর্ভপুষ্প
আগডুম-বাগডুম,
তা-ধিন, ধিন-তা
গ্রহণ–বর্জন,
বর্জন–গ্রহণ
ধ্বংস–নির্মাণ খেলা
চলছে
খেলা চলবেই
পৃষ্ঠা
ও কলম
মন ও শরীর
ডিম্বাণু
ও শুক্রাণু
No comments:
Post a Comment