এই নাটকের চরিত্ররা সকলেই পুতুল। পুতুল সাজা মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই এরা কথা বলেনা, কোনওরকম অভিব্যক্তি, এমনকী চোখের পলকও পড়েনা এদের। নেপথ্যে চলে সংলাপ, গান, বাজনা। সাধারণত পুতুলনাটক বলতে আমরা যা বুঝি, অর্থাৎ সুরেশ দত্ত মশাইয়ের হাতে যা বিশ্বজয় করেছে এ নাটক তাও নয়। এ এক বিলুপ্ত অধ্যায়। গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির মঞ্চায়ণ।
একদা বাংলার গ্রামে গ্রামে মেলায় মেলায় পড়ত পুতুলনাচের তাঁবু। হুবহু তারই অনুকরণে বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী মঞ্চের ওপর তৈরি করে নেন আরও একটি মঞ্চ, যা থিয়েটারের নয়, পুতুলনাচের আসরের মঞ্চ। তারপর চোখের সামনে ঘটতে থাকে এক অভাবিত অতীতায়ন। দর্শক পৌঁছে যান বাংলার মেলার মাঠে। তাঁবুর ভেতর একদা যে বিনোদন ছিল একান্ত প্রাণের।
গ্রামীণ সেই পুতুলনাচের আসরে সবথেকে জনপ্রিয় ছিল মনসামঙ্গল। বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর মঞ্চসেনারা বেছে নিয়েছেন সেই অতিপরিচিত গল্পটিকেই। বেহুলা লখিন্দরের গল্প সকলেরই জানা। যা জানা ছিল না তা এই যে, এভাবেও মানুষকে পুতুল বানিয়ে প্রযোজনা সম্ভব। প্রায় ২০০ অভিনয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছনো এই নাটকটির নৃত্য নির্মাণ করেছেন অন্বেষা ঘোয়। অন্বেষা এই নাটকের মূল চরিত্র বেহুলার ভূমিকাটিও সযত্নে পালন করেছেন। নাটক নির্মাণ ও সামগ্রিক প্রয়োগের কাজটি করেছেন উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। সুর বেঁধেছেন অশোক দাস, সনৎ মুখোপাধ্যায় ও কার্তিক দাস বাউল।
প্রকৃতপক্ষে বাংলার পুতুলনাচ বহুধাবিস্তৃত। এখানে যে রীতিটিকে নেওয়া হয়েছে তা একান্তভাবেই সুতোয় বাঁধা পুতুলের নৃত্যভঙ্গিমা। সুতোর টানে পুতুলগুলোর কাঠ-কাঠ অঙ্গ সঞ্চালন যেমনটি হওয়া উচিত বা হত একদা, এই নাটকে তার অবিকল প্রতিরূপ দেখে নস্টালজিক হয়ে উঠবেই যেকোনও মধ্যবয়স্ক মন। আর এই প্রজন্ম, যারা কোনওদিনই দেখতে পাবে না সেই পুতুলনাচের আসর, তাদের কাছেও এ এক ঐতিহাসিক দলিল।
বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর বেহুলা লখিন্দর পালায় নানান পুতুলের ভূমিকায় সুতোর টানে নাচলেন যারা, তাদের মধ্যে রূপা সুতার, হর্ষিতা ঘোষ, সন্দীপ রায়, কাজি খাইরুল ইসলাম, কাজি মেহেবুব ইসলাম, তুফান কোনাররা অনবদ্য। এরাই আবার নেপথ্যে গিয়ে গানও গাইলেন। কাজল মুখার্জীর ঢোলের বোলে আর প্রিয়ব্রত চক্রবর্তীর হারমোনিয়ামের সুরের তালে আলোর মায়া ছড়ালেন খাইরুল ইসলাম। সমস্ত ব্যাপারটাই কিছু হল অন্তত তিরিশবছর পিছিয়ে গিয়ে। বেহুলা লখিন্দর পালা দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল মোবাইল ফোন এখনও আসেনি, এখনও বিজয়ার পোস্টকার্ডে আসে শুভেচ্ছাবার্তা, সময়টা আশির দশকের শুরু অথবা তারও আগে সত্তরের মেঠো আলপথ ধরে মেলা দেখতে গিয়ে পুতুলনাচের আসর ফেরত মানুষ আমরা, হাতে যেন লেগে রয়েছে এখনও মেলার পাঁপড়ভাজার ছাঁচি তেল।
একদা বাংলার গ্রামে গ্রামে মেলায় মেলায় পড়ত পুতুলনাচের তাঁবু। হুবহু তারই অনুকরণে বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী মঞ্চের ওপর তৈরি করে নেন আরও একটি মঞ্চ, যা থিয়েটারের নয়, পুতুলনাচের আসরের মঞ্চ। তারপর চোখের সামনে ঘটতে থাকে এক অভাবিত অতীতায়ন। দর্শক পৌঁছে যান বাংলার মেলার মাঠে। তাঁবুর ভেতর একদা যে বিনোদন ছিল একান্ত প্রাণের।
গ্রামীণ সেই পুতুলনাচের আসরে সবথেকে জনপ্রিয় ছিল মনসামঙ্গল। বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর মঞ্চসেনারা বেছে নিয়েছেন সেই অতিপরিচিত গল্পটিকেই। বেহুলা লখিন্দরের গল্প সকলেরই জানা। যা জানা ছিল না তা এই যে, এভাবেও মানুষকে পুতুল বানিয়ে প্রযোজনা সম্ভব। প্রায় ২০০ অভিনয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছনো এই নাটকটির নৃত্য নির্মাণ করেছেন অন্বেষা ঘোয়। অন্বেষা এই নাটকের মূল চরিত্র বেহুলার ভূমিকাটিও সযত্নে পালন করেছেন। নাটক নির্মাণ ও সামগ্রিক প্রয়োগের কাজটি করেছেন উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। সুর বেঁধেছেন অশোক দাস, সনৎ মুখোপাধ্যায় ও কার্তিক দাস বাউল।
প্রকৃতপক্ষে বাংলার পুতুলনাচ বহুধাবিস্তৃত। এখানে যে রীতিটিকে নেওয়া হয়েছে তা একান্তভাবেই সুতোয় বাঁধা পুতুলের নৃত্যভঙ্গিমা। সুতোর টানে পুতুলগুলোর কাঠ-কাঠ অঙ্গ সঞ্চালন যেমনটি হওয়া উচিত বা হত একদা, এই নাটকে তার অবিকল প্রতিরূপ দেখে নস্টালজিক হয়ে উঠবেই যেকোনও মধ্যবয়স্ক মন। আর এই প্রজন্ম, যারা কোনওদিনই দেখতে পাবে না সেই পুতুলনাচের আসর, তাদের কাছেও এ এক ঐতিহাসিক দলিল।
বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর বেহুলা লখিন্দর পালায় নানান পুতুলের ভূমিকায় সুতোর টানে নাচলেন যারা, তাদের মধ্যে রূপা সুতার, হর্ষিতা ঘোষ, সন্দীপ রায়, কাজি খাইরুল ইসলাম, কাজি মেহেবুব ইসলাম, তুফান কোনাররা অনবদ্য। এরাই আবার নেপথ্যে গিয়ে গানও গাইলেন। কাজল মুখার্জীর ঢোলের বোলে আর প্রিয়ব্রত চক্রবর্তীর হারমোনিয়ামের সুরের তালে আলোর মায়া ছড়ালেন খাইরুল ইসলাম। সমস্ত ব্যাপারটাই কিছু হল অন্তত তিরিশবছর পিছিয়ে গিয়ে। বেহুলা লখিন্দর পালা দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল মোবাইল ফোন এখনও আসেনি, এখনও বিজয়ার পোস্টকার্ডে আসে শুভেচ্ছাবার্তা, সময়টা আশির দশকের শুরু অথবা তারও আগে সত্তরের মেঠো আলপথ ধরে মেলা দেখতে গিয়ে পুতুলনাচের আসর ফেরত মানুষ আমরা, হাতে যেন লেগে রয়েছে এখনও মেলার পাঁপড়ভাজার ছাঁচি তেল।
মন কাড়ল। নাটকের ফর্ম সম্পর্কে দারুন তথ্য।
ReplyDeleteউফফ, বঞ্চিত আমি।
ReplyDeleteজায়গাটা কোথায়
গর্বিত আমরা, বীরভূম এর গর্ব আমাদের বাহিনী - বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী ।।
ReplyDelete